মউতর বাদে জিন্দা অইলা হজরত ইছা (২৪:১-৫৩)
24
হজরত ইছা জিন্দা অওয়ার সাক্ষি-পরমান
অউ বেটিন্তে যেতা আতর-গোলাপ তিয়ার করছলা, হাপ্তার পয়লা দিন খুব ছবরে তারা অতা লইয়া, ইছার কয়বরর কান্দাত আইলা। আইয়া দেখলা, কয়বরর মুখর পাথরখান হরাইল অইগেছে। দেখিয়া তারা কয়বরর ভিতরে হামাইয়া দেখইন, ইছার লাশ তো কয়বরো নাই। তেউ তারা চিন্তাত পড়িগেলা। অউ সময় ধলা চকচকা কাপড় ফিন্নো দুই জন আইয়া তারার কান্দাত উবাইলা। এরারে দেখিয়া বেটিন্তে ডরাইয়া মাথা নোয়াইলিলা। অউ দুইওজনে তারারে কইলা, “ওগো, তুমিতাইন জিন্দারে কেনে মুর্দা অকলর মাজে আইয়া তুকাইরায়? তাইন তো অনো নাই, তাইন জিন্দা অইগেছইন। তাইন গালিলো থাকতে তুমরার গেছে কিতা কইছলা, মনো করিয়া দেখো। তাইন কইছলা না নি, বিন-আদমরে নাফরমান মানষর আতো ধরাই দেওয়া অইবো। তানরে সলিবো লটকাইয়া কাতল করা অইবো, অইলে মউতর তিন দিনর দিন হিরবার জিন্দা অইয়া উঠবা?”
অখান হুনতেউ ইছার আগর কথা অকল তারার মনো অইগেল। তারা কবরস্থান থাকি ফিরিয়া গিয়া, হউ এগারো জন সাহাবিরে আর বাকি হকলর গেছে খবর জানাইলা। 10 মগদিলিনী মরিয়ম, সোহানা, ইয়াকুবর মা মরিয়ম আর তারার লগে যেতা বেটিন আছলা, এরা হকলে গিয়া ই খবর কইলা। 11 অইলে যেরা ইতা হুনলা, এরা মনো করলা ইতা নিচয় বাজে মাত, ইতা বেটিন্তর মাত তারা একিন করলা না। 12 অইলে পিতর দৌড়াইয়া কয়বরর কান্দাত গেলা। গিয়া উন্দা অইয়া দেখলা, খালি কাফনখান পড়ি রইছে। ইতা দেখিয়া তাইন তাইজ্জুব বনিয়া ফিরত আইলা।
দুইজন সাগরিদে জিন্দা ইছারে দেখলা
13 অউ দিনউ দুইজন সাগরিদ জেরুজালেম থাকি সাত মাইল দুরই ইমুয়াছ নামর এক গাউত যাওয়াত আছলা। 14 পথো তারা অতা বেয়াপার অকল লইয়াউ মাতি মাতি যাইরা। 15 তারা মাতো রইছইন অউ সময় আখতাউ ইছা নিজে তারার কান্দাত আইয়া একলগে আটা ধরলা। 16 অইলে তারার চখুত ছাটা লাগি গেছিল, তারা ইছারে দেখিয়াও চিনলা না। 17 ইছায় তারারে জিকাইলা, “আটি আটি আপনারা ইতা কিতার বাতচিত কররা?” ইখান হুনিয়া এরা মুখ বেজার করি উবাই গেলা। 18 এরমাজে কিলিওফাছ নামে একজনে ইছারে কইলা, “আপনেউ একমাত্র জন, যেইন হুনছইন না ই কয়দিনে জেরুজালেমো কিতা ঘটিছে?”
19 ইছায় তারারে জিকাইলা, “কিতা ঘটিছে বা?” তারা কইলা, “নাছারতর ইছারে লইয়া যততা ঘটিছে। তাইন তো আল্লার নবী, তান মুখর জবান আর কামে-কাজে আল্লার নজরো আর হকল মানষর চখুতও খুব তাক্কতি আর মরতুবাআলা নবী আছলা। 20 আমরার বড় ইমাম আর মুরব্বি অকলে তানরে জানে মারার লাগি রোমান অকলর আতো ধরাইয়া দিলাইলা, তারা তানরে নিয়া সলিবর উপরে কাতল করিলিছে। 21 অইলে আমরার আশা আছিল, তাইন বনি ইসরাইলরে আজাদ করবা। আইজ তিন দিন অইলো ই ঘটনা ঘটিছে। 22 আর আমরার লগর কয়জন বেটি মানষে আইয়া আমরারে তাইজ্জুব বানাইলিছইন। তারা খুব ছবরে ইছার কয়বরো গেছলা, 23 গিয়া দেখছইন, তান লাশ নাই। তারা ফিরত আইয়া কইলা, তারা ফিরিস্তার দরশন পাইছইন, আর ফিরিস্তা অকলে তারারে কইছইন, ইছা জিন্দা আছইন। 24 বাদে আমরার লগে যারা আছলা, তারার মাজেও কেউ কেউ কয়বরো গিয়া দেখলা, বেটিন্তর কথাউ হাছা, ইছার লাশ কয়বরো নাই।”
25 হকলতা হুনিয়া ইছায় তারারে কইলা, “আপনারা তো কুন্তাউ বুজইন না। আপনাইন্তর দিল অলা অসাড় বনিগেছে নি? আল্লার নবী অকলে যেতা বাতাইয়া গেছইন, অতারেও আপনারা একিন কররা না। 26 নবী অকলে কইছইন না নি, আল্লার ওয়াদা করা আল-মসীয়ে দুখ-মছিবত সইয্য করিয়া হারি তান জালাল আর গৌরব হাছিল করবা?” 27 বাদে তাইন মুছা নবীর তৌরাত কিতাব থাকি শুরু করিয়া, হক্কল নবীর কিতাবর মাজে তান বেয়াপারে যততা লেখা আছে, অতা তারারে বুজাইলা।
28 আর যে গাউত যাইতা করি তারা রওয়ানা দিছলা, হউ গাউর কান্দাত আইলে ইছায় আরো দুরই যাওয়ার ভাব দেখাইলা। 29 অইলে তারা খুব মিনত-কাজ্জি করিয়া তানরে কইলা, “অখন তো বেইল গেছেগি, হাইঞ্জা অইযার, তে রাইতখান আপনে আমরার গেছে রই যাউক্কা।” অউ তাইন রওয়ার লাগি বাড়িত হামাইলা। 30 বাদে যেবলা খানিত বইলা, অউ সময় ইছায় রুটি লইয়া টুকরাইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করিয়া তারারে দিলা। 31 তেউ তারার চউখ খুলিগেল, তারা ইছারে চিনিলিলা। চিনার লগে লগেউ তাইন এরার গেছ থাকি আউড়ি দিলাইলা। 32 বাদে তারা একে-অইন্যরে কইলা, “পথো যেবলা তাইন আমরার লগে বাতচিত করছলা, আমরারে আল্লার কালাম বুজাইয়া দিছলা, হউ সময় আমরার দিলর মাজে এক এশকি পয়দা অইছিল না নি?”
33 লগে লগে তারা দুইওজন বারইয়া জেরুজালেম আইলা। আইয়া হউ এগারো জন সাহাবি আর বাকি হক্কলরে এখানো বওয়াত পাইলা। 34 তারা অনো বইয়া অতা মাতিরা, হজরত ইছা আসলেউ জিন্দা অইগেছইন, জিন্দা অইয়া সাইমন-পিতররে দেখা দিছইন। 35 অউ সময় হউ দুইও জনেও এরারে কইলা, পথর মাজে তারা কিলা ইছার দেখা পাইলা, রুটি টুকরাইবার সময় কিলা তানরে চিনলা, ইতা হকলতা জানাইলা।
জিন্দা ইছারে হকল সাগরিদে দেখলা
36 সাহাবি অকলে তো অতা লইয়া বাতচিত কররা, অউ সময় আখতাউ ইছা নিজে অনো আইয়া তারার মাজখানো উবাইয়া কইলা, “আছছালামু আলাইকুম।” 37 তানে দেখিয়া তারা খুব ডরাইগেলা, মনো করলা ভুত আইছে। 38 ইছায় তারারে কইলা, “তুমরা অতো অস্থির অইগেলায় কেনে? কেনে তুমরার দিলো সন্দয় হামাইলো? 39 আমার আত-পাও ভালামন্তে দেখো, দেখো না, ই তো আমি। আমারে আতাইয়া দেখো, ভুতর তো আমার লাখান আড্ডি-মাংস নাই।” 40 অখান কইয়া তাইন নিজর আত-পাও তারারে দেখাইলা। 41 অইলে তারা তানে দেখিয়া অতো বেশি খুশি অইলা, খুশির চুটে বেদিশা বনিগেলা, কুন্তা বিশ্বাস করতা পারলা না। তেউ ইছায় তারারে কইলা, “ইনো খাইবার কুন্তা আছে নি?” 42 তারা এক টুকরা বিরান মাছ তানরে দিলা। 43 অউ মাছ তাইন হকলর ছামনে খাইলা।
44 খাইয়া এরারে কইলা, “আমি যেবলা তুমরার লগে আছলাম, হউ সময় তুমরারে কইছলাম না নি, মুছা নবীর তৌরাত শরিফ, নবী অকলর ছহিফা, আর জবুর শরিফর মাজে যেতা লেখা আছে, ইতা হকলতা নিচ্চিত ফলিবো।” 45 অখান কইয়া হারি, তাইন সাহাবি অকলর দিলর দুয়ার খুলি দিলা, যাতে আল্লার কালামর মানি এরা বুজতা পারইন। 46 তাইন কইলা, “আল্লার কালামো লেখা আছে, আল-মসীয়ে বউত কঠিন দুখ-তকলিফ পাইবা, মউতর তিন দিনর দিন তাইন মুর্দা থাকি জিন্দা অইযিবা। 47 যেকুনু মানষে তান নামে তৌবা করলে, গুনার মাফি মাগিলে মাফি পাইবো, অউ বয়ানি জেরুজালেম থাকি শুরু অইয়া আস্তা দুনিয়ার হকল জাতির কানো পৌছানি লাগবো। 48 তুমরাউ ই হক্কলতার সাক্ষি। 49 আর হুনো, আমার বাতুনি বাফে যেতা দান করার ওয়াদা করছইন, আমি ইতা তুমরার গেছে বেজিমু। অইলে বেহেস্ত থাকি বল-তাক্কত না পাওয়া পর্যন্ত, তুমরা অউ জেরুজালেমো রইও।”
হজরত ইছারে বেহেস্তো তুলিয়া নেওয়া অইলো
50 বাদে ইছায় সাহাবি অকলরে লইয়া বায়ত-আনিয়া গাউর মুখো গেলা, গিয়া তাইন আত তুলিয়া তারারে দোয়া দিলা। 51 আর অউ দোয়ার হালতেউ তাইন তারার গেছ থনে আলগ অইগেলা, তানরে বেহেস্তো তুলিয়া নেওয়া অইলো। 52 তারা হকলে তানরে সইজদা করিয়া, খুব খুশি অইয়া জেরুজালেমো ফিরত আইলা। 53 আর বায়তুল-মুকাদ্দছর মাজে হামেশা আল্লার হামদ-তারিফ করাত রইলা। আমিন॥