যারা তাঁকে জানে তাদের কেন এ ধরনের দিনের জন্য অনর্থক অপেক্ষা করতে হবে?

তারা চুরি করা মেষপাল চরায়।

ও বিধবাদের বলদ বন্ধক রাখে।

ও দেশের সব দরিদ্রকে লুকিয়ে থাকতে বাধ্য করে।

দরিদ্রেরা তন্নতন্ন করে খাদ্য খুঁজে বেড়ায়;

পতিত জমি তাদের সন্তানদের জন্য খাদ্য জোগায়।

ও দুষ্টদের দ্রাক্ষাক্ষেতে খুঁটে খুঁটে ফল কুড়ায়।

শীতকালে নিজেদের গা ঢাকার জন্য তাদের কাছে কিছুই থাকে না।

ও আশ্রয়ের অভাবে তারা পাষাণ-পাথরকে বুকে জড়িয়ে ধরে।

দরিদ্রদের শিশুসন্তানকে দেনার দায়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

তারা শস্যের আঁটি বহন করে, কিন্তু তাও ক্ষুধার্ত থেকে যায়।

তারা পা দিয়ে দ্রাক্ষাফল পেষাই করে, তবুও তৃষ্ণার্তই থেকে যায়।

ও আহতদের প্রাণ সাহায্যের আশায় আর্তনাদ করে।

কিন্তু ঈশ্বর কাউকে অন্যায়াচরণের দোষে অভিযুক্ত করেন না।

যারা তার পথ জানে না

বা তার পথে থাকে না।

দরিদ্র ও অভাবগ্রস্তদের হত্যা করে,

ও রাতের বেলায় চোরের মতো চুরি করে।

সে ভাবে, ‘কেউ আমাকে দেখতে পাবে না,’

ও সে তার মুখ ঢেকে রাখে।

কিন্তু দিনের বেলায় তারা ঘরে নিজেদের বন্দি করে রাখে।

অন্ধকারের সন্ত্রাসের সাথেই তারা বন্ধুত্ব করে।

দেশে তাদের বরাদ্দ অধিকার শাপগ্রস্ত হয়,

তাই কেউ দ্রাক্ষাক্ষেতে যায় না।

সেভাবে কবরও যারা পাপ করেছে তাদের ছিনিয়ে নেয়।

কীটপতঙ্গ তাদের দেহগুলি নিয়ে ভোজে মাতে;

কিন্তু তারা গাছের মতো ভেঙে যাবে।

ও বিধবাদের প্রতি তারা কোনও দয়া দেখায় না।

যদিও তারা প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের জীবনের কোনও নিশ্চয়তা নেই।

কিন্তু তাদের পথের দিকে তাঁর দৃষ্টি থাকে।

তাদের অবনত করা হয় ও অন্য সকলের মতো সংগ্রহ করা হয়;

শস্যের শিষের মতো তাদের কেটে ফেলা হয়।

ও আমার কথা নিরর্থক করে দিতে পারে?”